মিহিমা আফরোজ: শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো চুয়াডাঙ্গায়, ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো রাঙ্গামাটিতে, ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১৯৬৫ সালের পর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, খুলনা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও পটুয়াখালীসহ সাত জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকতে পারে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে আগামী তিনদিন পর থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

সবার স্বাস্থ্যের উপরেই এই গরমের প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ঝুঁকি বেশি। তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীরও গরম হয়ে যায়। এর ফলে রক্তনালীগুলো খুলে যায়। এর জের ধরে রক্ত চাপ কমে যায়, যে কারণে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করা হৃদপিণ্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে বলে ডাক্তাররা মনে করেন। 

ডাক্তার গোলাম কিবরিয়া বলেছেন, আমাদের শরীরের স¦াভাবিক তাপমাত্রা হলো ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু আবহাওয়া যখন গরম হয়ে যায়, তখন দেহের ভেতরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখার জন্য আমাদের শরীরকে অনেক কাজ করতে হয়। তিনি এই তীব্র তাপপ্রবাহে প্রচুর পরিমাণে পানি ও স্যালাইন পান করার পরামর্শ দিয়েছেন। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন এবং বের হলেও সুতি জামা পরার পরামর্শ দিয়েছেন। ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে হিট-স্ট্রোকে কারো কারো মৃত্যুরও শঙ্কা আছে। তাই সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করতে হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব